Header Ads

Header ADS

ই patrika-১৩


ইলশেগুঁড়ি ই-পত্রিকা ১৩

২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২১

সুচিপত্র


আ মা র  পু জো 

পুজো -  পৌষালী সেনগুপ্ত
শৈশবের স্মৃতি - মৃদুল বোস
 আনন্দের ইলশেগুঁড়ি মুকুল সরকার
 ঋতুরাণী - বানীব্রত
দুর্গার ডাক - শীতল চট্টোপাধ্যায় 


ক বি তা 

ভালোবাসার পদ্যাবলী -   রাকিব 
বন্ধু আনে সুখ - রঞ্জন ভাওয়াল

গ ল্প 

শুধু শাশুড়ি নয় মাও নাকি সব মেয়েরাই - শম্পা সাহা

ধারাবাহিক গল্প

তৃণা - দেবব্রত ঘোষ মলয় (দ্বিতীয় পর্ব)



আবার নিম্মচাপের কবলে বাংলা। গত কয়েকদিন নাগাড়ে বৃষ্টি ব্যহত করল শারদ অনুষঙ্গে যাবতীয় উদ্যোগ। তবুও শরৎ এলেই মানুষ মাতে।
ইলশেগুঁড়ির এই বছরের নতুন উদ্যোগ প্রতি সপ্তাহে পুজাবার্ষিকী পাঠকমননে সাড়া জাগিয়েছে। দেখতে দেখতে পাঁচ সপ্তাহে পাঁচটি সংখ্যা আমরা প্রকাশ করলাম। আর দুটি সংখ্যার পর আবার ই-পত্রিকা মাসে মাসে প্রকাশিত হবে।
কথামতোই এই সাত সপ্তাহ আমরা গুরুগম্ভীর বিষয়কে একটু সরিয়ে রাখলাম। উৎসবের অনুষঙ্গে হালকা মনোরম কিছু লেখার সমারোহ এ বারেও।
ভাল থেকো প্রিয় পাঠক ...

দেবব্রত ঘোষ মলয়


আ মা র  পু জো 

দুর্গার ডাক

শীতল চট্টোপাধ্যায়

থমথমে ভয়, চারিদিকে ক্ষয় পাখিরা কিন্তু উড়ছে
থেমে আছে সব, থেমে নেই কাশ ফুটে শরতেই জুড়ছে ৷
শিউলি শাখাতে অভাব আসেনি ফুল সংসারও ফুটছে
পদ্ম বোঝেনি খারাপ সময় পুকুরেই জেগে উঠছে৷

ছোটরা মনের কষ্ট না-বুঝে দুর্গার আসা খুঁজছে
পুজোর হাওয়ার ডানা ছুঁয়েছে সব মনই এটা বুঝছে ৷
হোক মহামারী, মাঠভরা ধান সবুজ বয়সে দুলছে
রাংতা রোদেতে, হাওয়া ও শিশিরে, দুর্গার পথ খুলছে ৷

পায়ের শব্দ শুনেই বোধহয় মা-ও, গিরিমাটি  গুলছে
বড়বেলার সবাই নিজের ছোটবেলা ডেকে তুলছে ৷
দুর্গা ‘চেয়েছে’ শুনে মন্ডপে ছোটরাও সব ছুটছে
দুর্গার ডাক কানেতে যেতেই তাঁরই কাছে ওরা জুটছে ৷

শৈশবের স্মৃতি

মৃদুল বোস

বয়স আমার কতই বা হবে, ছিল অনেক কম
হোস্টেলেতে পড়তে গিয়ে খেয়েছিলাম এক বিষম,
'না' বলাটাই স্বভাব ছিল বলতেন তাঁরা যথা তথা
আর কঠিনভাবে বকে দিয়েই শুরু করতেন কথা।

একদিন হলো কি ভাই হোস্টেলেতে সান্ধ্য ক্লাসে গিয়ে
পিঠের মধ্যে হঠাৎই আঘাত পেলাম বেতের ঘায়ে!
চমকে গিয়ে পিছন ফিরে যেই না দেখতে গেলাম
আরেকটা বেত পুরস্কার স্বরূপ সটান ফিরে পেলাম।

কি আর করি বাবা দিয়েছেন ভর্তি করে এই হোস্টেলে
পালাবার কোনো উপায় তো নেই লক্ষ্মীছাড়া বলে,
মন লাগিয়ে পড়াশুনা খেলাধুলা করতাম রোজদিন
পড়াশুনার থেকে খেলাধুলাতেই বেশি বাজত খুশির বিন।

রাত্তিরেতে খাবার সময় ঐ বয়সে আটার রুটি পেয়ে
খাবার চেয়ে অনেক সময় কাটতো রুটি লুকাতে গিয়ে,
রাত্রে কখন নিদ্রাদেবী ক্লান্ত শরীরে ভর করতেন একফাঁকে
ভোরের বেলায় ঘুম ভাঙত নেপালি চৌকিদারের ডাকে।

আনন্দের ইলশেগুঁড়ি

মুকুল সরকার

শরতের ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি
সাথে কতশত নবীন সৃষ্টি I
মন ভরে ওঠে শারদ সুরে
ইলশেগুঁড়ি ছড়িয়ে পড়ে
নিকট থেকে সুদূরে I
বৃষ্টি, সাথে রোদের বলয়
বন্ধ ঘরে আশায় থাকি
যদি পাই শীতল মলয় I
বর্ণিল স্বপ্ন রচে ইলশেগুঁড়ি,
তাই কাজ সেরে তাড়াতাড়ি
বৃষ্টির জগতে প্রবেশ করি I
ইলশে গুঁড়ির মায়াবী পথে
নির্মল আনন্দের ছড়াছড়ি II

ঋতু রানি

বানীব্রত

নীপবনে কুঞ্জ ছায়ায় সোনালী হাসির ছোঁয়ায়
দোয়েল কোয়েল ডাক দিয়ে যায় কোন সকালে,
সোনালী ধানের শিষের ডগায় বাতাস দেয় ঢেউ।
জীর্ণ ক্লিষ্ট দিন গুলোকে ভুলিয়ে  দিয়ে
আনন্দের ঝর্ণা ধারায় মাতিয়ে দিয়ে যায়।
বর্ষণ  সিক্ত সবুজ সমারহে, প্রাণের উন্মাদনায়
আগমনী সুর বাজে বাউলের একতারায়।
শিউলির মাতাল করা গন্ধে ভুবন ভরে ওঠে
সাদা কাশের বনে হিল্লোল  জাগে
নীল আকাশের বুকে ভেসে যায় সাদা মেঘরাশি
সোনালী রোদের ঝলকে আসে আগমনীর আগমন বার্তা।
শিশিরকণাগুলো খেলা করে ঘাসের ডগায়
বাতাসে বাজে আগমনী সুর
মানুষের মনে দোলা লাগে, প্রকৃতির বুকে আবির্ভুত হয় ঋতু রানি শরত।।

পুজো

পৌষালী সেনগুপ্ত

এই পড়লো ঢাকে কাঠি,
মাতল পাড়ার সবাই!
চারিদিকে পুজোর গন্ধ;
বাড়ি আসার ধুম,
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় এখন
ঘরে বসে নেই কেউ!
সন্ধি পুজো আর ধুনুচি নাচ
বাঙ্গালী মাতে পুজোর ভোগে আর ভাসানের নাচে!
পুজোর সময় সবাই মিলে মজা,
চারিদিকে আলো,খাওয়া দাওয়া উৎসব;
মজেছে সবাই!

ক বি তা 

ভালোবাসার পদ্যাবলী

রাকিব 


ভালোবাসার পদ্যাবলী চুনোপুঁটির মতো
অবারিত খেলাচ্ছলে লুটোপুটি খায়,
দক্ষিণ হস্তের পাঁচ আঙুলের লিকলিকে
কুসুম কোমল ডগায় ডগায় ।

ভালোবাসার অযুত কমনীয় রক্তিম পঙক্তিমালা -
ছন্দে ছন্দে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে, থরে থরে
উতলা হয়ে আঁজলা ভরে কেবলই সাজাই ।

হয়তো কোন এক অজানা,অচেনা রাজসিক ক্ষণে
অসহ্য সুখে ঝাঁপটানো পেলব ডানার স্পর্শ দহনে,
আপাদমস্তক অনুচক্রিকা নিমেষে ছেঁকে ছেঁকে
বাম অলিন্দের মণিকোঠায় পরম সযতনে রেখে -

অতলান্তিক রোমান্টিকতায় নীরব খুনে ধরা বাসরে-
ন্যানো সেকেন্ডে যারপরনাই তুমুল ভালোবাসবো তোমাকে;

হুম ! অহর্নিশ .. 
নিশ্চয় বিনিশ্চয় অত্যাশ্চর্যপূর্বক শুধুই তোমাকে  !!

বন্ধু আনে সুখ

রঞ্জন ভাওয়াল


বন্ধু হলো দুঃখের সাথী
তাহার সাথে সুখে মাতি
বিপদ কালে পাশে,
এক সাথেতে খেলা করি
মধুর সুখে হৃদয় ভরি
মনে শান্তি ভাসে।

ব্যাধি , জড়া আসে যখন
বন্ধু পাশে আসে তখন
বসে সেবা করে,
সাহস জোগায় ব্যথা বুকে
সুস্থ করে হাসি মুখে
আশায় বুক ভরে।

ধরায় বন্ধু আসে বলে
খুশিতে এই জীবন চলে
প্রাণেতে সুখ রহে,
বন্ধুর মত দোসর য়ে নাই
তাঁর কাছে শান্তি যে পাই
সুখের বন্যা বহে।
 


গ ল্প 

শুধু শাশুড়ি নয় মাও নাকি সব মেয়েরাই

শম্পা_সাহা


আজ সকাল থেকেই খুব লিখতে ইচ্ছে করছে। যারা একটি আধটু লেখেন তারা জানেন, লেখাটা যখন লেখা আসে, সে সময় না লিখে ফেলতে পারলে হয়তোবা আর লেখাই হবে না। 

কিন্তু বাড়ির বউ, বাচ্চার মা, চাইলেই কাগজ কলম নিয়ে বসবে বা মোবাইল নিয়ে, ততটা মর্ডান পরিবার আমার নয়। আর তাছাড়া বিছানা তোলা, রান্না, বাসন মাজা, কাপড় কাচা, মেয়ে পড়ানো, ঘর মোছা, ভেজা জামাকাপড় মেলা, শুকনো জামাকাপড় তুলে আনা, খেতে দেওয়া, ঠাকুর পুজো এসবে হয়তো খাটনি নেই কিন্তু সময়টাতো লাগে। তাছাড়া একাজ আমার কে করে দেবে? 

শাশুড়ি বয়স্কা, শীতে দাঁড়িয়ে একটু রোদ পোহাবেন না এইসব করবেন? তাঁকে বলতে বিবেকে বাধে। আরে আমার তো রোজ এখন স্কুল নেই। অন লাইন ক্লাস আছে, কিন্তু সে তো মোবাইলে বাড়িতে বসে। দিব্যি অন্য কাজ করতে করতে করা যায়। 

কর্তা সকলে অবশ্য চাটা করে দিয়েছেন, ফিরবেন সেই সন্ধ্যা পার। ফ্লাস্কে আছে, ইচ্ছে হলে দু চার কাপ খাওয়াই যায়। যাক্ গে। সব সেরে উঠতে উঠতে লেখা মাথায় উঠে গেছে! আর বেলাও তখন পড়ো পড়ো। সন্ধ্যা, মেয়েকে তো পড়তে বসাতে হবে। 

এখন সময় বলতে সবাইকে খাইয়ে দিয়ে, সব বিছানায় গেলে তারপর। ধুত্তোর! পেন চিবিয়ে ও আঁতিপাঁতি খুঁজে সে লেখার আর টিকির নাগাল পেলাম না। গেল আমার এক রোমহর্ষক, মর্মান্তিক, মর্মন্তুদ লেখার সলিল, থুড়ি সংসার সমাধি। 

এখন কাজের লোক রাখা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে গ্যাঁটের কড়ি খসবে আমারই। সেও না হয় হল, কিন্তু যতোবারই লোক রেখেছি, আমি বেড়িয়ে গেলে বাড়ির লোকের সাথে খিটিমিটিতে তারা টেকেনি বা কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তারা নাকি দূরে ভালো কাজ পেয়ে আমার বাড়ি ছেড়ে যায়। তারপর অবশ্য তাদের আমার পাড়াতেই কাজ করতে দেখি। কারণ আন্দাজ করতে পারলেও জিজ্ঞাসা করি না, ভয়ে। কি জানি বাবা, কেঁচো খুঁড়তে যদি কেউটে বেরোয়। 

রান্নার লোকের রান্না বাড়ির কারো না পসন্দ! রুটি কাঁচা, এঁটো সকড়ি মানে না, বাসি জামাকাপড়, না জানি কত বাড়ি ঘুরে আসে ইত্যাদি ইত্যাদি। আর চাইলেই যে মনের মত, বা কাজ চালাবার মত লোক পাওয়া যায় না, এ ভুক্তভোগী মাত্রেই জানে। 

যাই হোক, শেষমেশ বিরক্ত হয়ে মা ফোন করায় বললাম দুঃখের কথা, ‘‘দেখো আর ভাল্লাগে না, এই রাজ্যের কাজ সেরে একটু লিখবো তার উপায় নেই। ধুর আজ আর রাঁধবো না। যেমন তেমন চালিয়ে নেবো’’। 

‘‘না  মা, তা বললে কি হয়? তুমি মা, তোমার সন্তান আছে। তার জন্য তো তোমায় ভাবতে হবে?’’, মার অকাট্য যুক্তি। 

‘‘কিন্তু মা, তারজন্য এই ঊনকোটি চৌষট্টি সামলাতে আমি একটু লিখতে পারবো না, বল? রান্না তো সবাই পারে, কিন্তু লেখা? ভগবান যখন আমাকে এ আশীর্বাদটা দিয়েছেন আমি একটু তা কাজে লাগাতে পারবো না?’’, আমিও হাল ছাড়ার পাত্রী নই লড়ে যাচ্ছি প্রাণপণ। 

‘‘দেখো, সংসার ধর্ম মেয়েদের সবার আগে। সেটা সব থেকে আগে করতে হবে। বাকি কাজ পরে। আগে রান্না বান্না, জামাই, মেয়ের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করে তারপর বাকি কাজ। এগুলো তুমি করবে না কে করবে?’’ মা বোঝানোর ভঙ্গিতে সুর নরম, তুই থেকে তখন তুমি। 

‘‘কিন্তু এতো কি একা মানুষের পক্ষে সম্ভব? তাছাড়া সময়? সময় কি করে ম্যানেজ করবো? কেউ একটু বুঝবে না?’’  আমি তখন মরিয়া।

মা মোক্ষম অস্ত্র ছাড়ে, ‘‘দেখো, মেয়েরা মা দুর্গার জাত, দশ হাতে সব সামলাতে পারে, তুমিও পারবে,’’ মোক্ষম অস্ত্রে আমার মা আমাকে হারিয়ে দিয়ে চলে গেলো আর আমি? একেবারে গো হারান হেরে গেলাম মায়ের কাছে। 

এভাবেই আমার মা বোধহয় দিদার কাছ থেকে ভাবতে শিখেছে, কিন্তু আমি শিখিনি। তাই আমি এখনো আকাশ খুঁজি। আমার মেয়েকেও শেখাবো জীবনের সত্যিকারের সার্থকতা ও যেটা মনে করবে সেটাই, আমার বা সমাজের চাপিয়ে দেওয়া ভাবনা নয়। আমি ওকে খোলা আকাশ দেখতে শেখাবো, তবে যদি ওর ভালো লাগে। 

ধারাবাহিক গল্প

তৃণা

দেবব্রত ঘোষ মলয়




ঘটনাক্রম বাঁক নিলো এরপর। সেদিনটা ছিল স্বাধীনতা দিবস। সেদিনও অঝোর বৃষ্টি বাইরে আর তৃণা এল যথারীতি কাক ভেজা হয়ে। ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে সোজা এসে আমাকে ভেজা পোশাকে জড়িয়ে ধরে টিনা আর মুহূর্তেই আমার শরীরে আগুন জ্বলে ওঠে। তীব্র আশ্লেষে ওর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে ওকে শুইয়ে ফেলি আমার ছোট্ট বিছানায়।
না, এরপর তৃণা আর কোনদিন আসেনি। প্রায় কর্পূরের মতই উবে গেলো মেয়েটা। ওর বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানলাম, সেদিনই সমস্ত আসবাব নিয়ে মা-মেয়ে চলে গেছে। হতভম্ব আমি কিন্তু ওর কর্মস্থলে গিয়ে বা অন্য কোনোভাবে ওর খোঁজ নেবার চেষ্টাই করিনি। কেবল ভাববার চেষ্টা করেছি, কি সেই কারণ? সেদিন তো টিনাই এগিয়ে এসেছিল, তবে ও কেন চলে গেল এভাবে?
এরপর পৃথিবী আগের মতই রইলো। কিন্তু আমার হঠাৎই মন বদলে গেল। কিছুটা মনোনিবেশ করতেই পেয়ে গেলাম একটা চাকরি তাও সরকারি যা কিনা তৃণার স্বপ্ন ছিল। তিনকুলে কখনোই কেউ নেই আমার। কিন্তু কিভাবে যে চাকরিটা পাওয়ার পরেই বন্ধুর সংখ্যা বেড়ে গেল, পাড়াতেও সবার পরিচিত হয়ে গেলাম ঘরকুনো আমি। আর আমাদের ভাঙ্গা বাড়িটা প্রোমোটারের হাতে পড়ে ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাটে রূপান্তরিত হল। আমি এখন "ঐশদীপ্তর" পাঁচ তলার বাসিন্দা।
এখন আমার বয়স উনচল্লিশ। বন্ধুরা এইরকম এক সুপাত্রকে অবিবাহিত রাখাটা নিজেদের অপরাধ বলে ভেবে নিল এবং নিরন্তর নানা সুপাত্রের খোঁজখবর আনতে লাগলো তারা। আমার মত একজন ভালো চাকরি করা যুবক অবিবাহিত থাকাটা নাকি সমাজের প্রতি চরম অন্যায়। মুখচোরা আমি চিরকালই সজোরে প্রতিবাদ করতে পারি না। তাই তো নিজের ঘরে বইয়ের সঙ্গে সহাবস্থানই আমাকে দিত নিরাপত্তা। এখন বন্ধুদের এ হেন উপদ্রবে আমি বদলের চেষ্টা করতে শুরু করলাম এবং অচিরেই সুযোগ এসে গেল। আমার দপ্তর আমাকে বদলি করল বর্ধমান জেলার নিঝুমপুর গ্রামের একটি সেচ দপ্তরের অফিসে।
ঘরকুনো চিরকাল কলকাতাবাসী আমি এই গ্রামে এসে যেন হাতে চাঁদ পেলাম। আকাশ এত নীল হয়, তাতে এত তাড়াতাড়ি রাতে আর কত কত ফাঁকা মাঠ, চারণভূমি, ধানক্ষেত আর ঝিল। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলাম নিজের সিদ্ধান্তের জন্য।
প্রায় দিন পনের কেটে গেল। গ্রামের বিশুদ্ধ বাতাস অঢেল মাছ আর দুধ, টাটকা সবজি আমার চেহারার বদল এনে দিল। এখানে ঘরের কাজ আর রান্না করার জন্য ভাল লোকও  জুটে গেল। ফলত আমার অবসর সময় বাড়ল। এখানে শহরের মতো নিজেকে নিয়ে আর বই নিয়ে থাকাটা খুবই অসুবিধাজনক। কয়েকদিনেই গ্রামের অল্প বাসিন্দারা নিজেরাই এসে যেচে আলাপ করে গেছে। ফলে সন্ধ্যেটা এখন গ্রামের বাজার অর্থাৎ রাস্তার ধারে এক জমজমাট চায়ের দোকানে কাটে।

এরপর পরের সপ্তাহে ...


ইলশেগুঁড়ি-র সাপ্তাহিক অনলাইন পত্রিকা 

ই-পত্রিকায় লেখা পাঠাবার নিয়মাবলী


  • সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক অপ্রকাশিত মৌলিক লেখা পাঠাতে পারেন।
  • কোন লেখার ক্ষেত্রে শব্দসংখ্যার বাঁধন নেই তবে মহাভারত পাঠাবেন না।
  • লেখা শুধুমাত্র বাংলা ইউনিকোড ফন্টে টাইপ করে পাঠাতে হবে।
  • নিজের একটা ছবি দেবেন অ্যাটাচ ফাইল হিসাবে।
  • ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বর থাকা জরুরি।
  • বইয়ের আলোচনা পাঠানো যাবে তবে সঙ্গে দিতে হবে বইটির প্রচ্ছদের ছবি।
  • প্রত্যেকের লেখার আলাদা করে প্রাপ্তি স্বীকার করা হয় না। 
  • লেখা যে কোন সংখ্যায় প্রকাশিত হতে পারে।
  • আমাদের ফেসবুক পেজে বা ওয়েবসাইটে প্রতি সপ্তাহে সম্পূর্ণ সূচিপত্র দেওয়া হবে।
  • প্রত্যেককে তাঁর নিজের লেখার লিংক আলাদা আলাদা ভাবে পাঠানো সম্ভব হয় না।
  • পত্রিকা প্রকাশের অব্যবহিত পরেই প্রত্যেক লেখককে পত্রিকার লিঙ্ক পাঠানো হয়।
 প্রয়োজনে ৯৩৩১২৭১৮২৫ ম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করুন বা
ই-মেইল করুন ilseguripatrika@gmail.com
আমাদের ওয়েবসাইট অনুসরণ করুন:- https://ilseguripatrika. blogspot.com/
আমাদের ফেসবুক পেজ :- https:://www.facebook.com//ilseguripatrika



ইলশেগুঁড়ি থেকে প্রথম কবিতা সঙ্কলন সাজির সাফল্যের মুকুটে 
আরো একটি পালক যুক্ত করল আনন্দবাজার পত্রিকার এই রিভিউ

ইলশেগুঁড়ি প্রকাশনের প্রথম কবিতা 
সংকলন সাজি এখন পাওয়া যাচ্ছে।





প্রকাশের পথে গোয়েন্দা উপন্যাস 

ইলশেগুঁড়ি-র একরাশ শুভেচ্ছা বসিরহাট থেকে প্রকাশিত

বিবস্বান পত্রিকার ২৫ বছরে পদার্পনে।






প্রকাশ আসন্ন




প্রিয় পাঠক, আপনার মতামত আমাদের কাছে মূল্যবান।

ilseguripatrika@gmail.com

No comments

Theme images by luoman. Powered by Blogger.